নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের পাশে চোখ পরলে দেখা মিলবে বেদে পরিবারের অস্থায়ী তাবু, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে ভাসমান তাবু স্থাপন করে বসবাস করছে বেদে পরিবারগুলো।
সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১৮ টি বেদে পরিবারে প্রায় ৬৪জন সদস্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নাথাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের শিশুরাও। কিছু দিন পুর্বে চ্যানেল এস টেলিভিশনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে, সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের বেদে পরিবার গুলো সরাকারী সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এক অবহেলিত সম্প্রদায়, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় তার আলোকে ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে সিলেটের অলাভজনক সংস্থা গ্রুপ অফ হোপ’র উদ্যোগে বেদে পরিবারগুলোতে নগদ অর্থসহ প্রতিটি পরিবারকে দুইটি করে শীতবস্ত্র (কম্বল) তোলে দেন অলাভজনক সংস্থা গ্রুপ অফ হোপ’র সভাপতি পুবালি ব্যাংকের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক, স্কুল অফ এক্সিলেন্স সিলেটের মাহমুদুর রহমান তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক এলএলবি, এলএলএম সাফওয়ান আহমেদ। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হক, গোয়াইনঘাট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু কাওছার, ডা: মনসুর আহমেদ, কর্পোরেট কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ।
অলাভজনক সংস্থা গ্রুপ অফ হোপ’র সদস্য গোয়াইনঘাট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু কাওছার বলেন, আমরা সবসময় অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ালেও এর মধ্যে নিজেদের অজান্তে কিছু বাকি থেকে যায়। আমি দেখেছি কিছু দিন পুর্বে চ্যানেল এস টেলিভিশনসহ কিছুসংখ্যক সংবাদ পত্রে, সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাটের বেদে পরিবার গুলো সরাকারী সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত এক অবহেলিত সম্প্রদায়, শিরোনামে এক সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল, এ সংবাদটি দেখার পর আসলে আমরা এই উদ্যোগ নিয়ে গ্রুপ অফ হোপ’র পক্ষ থেকে তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করি। এই শীতে বেদে পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের ফলে তারা কিছুটা শীতের প্রকোপ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।